✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ৩:৫৫
তুরস্কের বিভিন্ন প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশটির ইজমির, মুগলা, আন্টালিয়া, কানাক্কালে, বিলেসিক, হাতায় ও সাকারিয়া প্রদেশে এই দাবানলের ঘটনা ঘটে। তীব্র বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ইজমিরের আলিয়াগা জেলা। এখানকার ফোকার ইলিপিনার পাড়ায় দাবানল ব্যাপক আকার ধারণ করে। আগুনের সূত্রপাত হয় বোজকয় ও হোরোজগেদিগির মাঝামাঝি একটি গ্রামীণ বনাঞ্চল থেকে। বাতাসের তীব্রতা এবং আর্দ্রতার অভাবে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।
দাবানলের কারণে এখন পর্যন্ত ১৭৫টি বাড়ি থেকে ৫৫০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকে ফোকার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন, আবার কেউ কেউ আশপাশের গ্রামে চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
তুরস্কের গভর্নর সুলেমান এলবান জানিয়েছেন, “মৌসুমি গড়ের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি এবং আর্দ্রতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে, যা আগুন লাগার অন্যতম প্রধান কারণ। তবে আমাদের দমকল কর্মীরা দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আশা করছি ভয়াবহ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই তা নেভানো সম্ভব হবে।”
অন্যদিকে, আগুনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকরাও তাদের ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে ফিরে যাচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবুও নতুন করে দাবানল শুরু হওয়া এবং তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এখনো কাটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তুরস্কের দমকল বাহিনী ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো।
0 মন্তব্যসমূহ