✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৩২
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার ইরানের সামরিক বাহিনী একযোগে অন্তত ২৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরাইলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যার মধ্যে রয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা এবং দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা।
ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের খবর
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এর ফলে হাইফা শহরে অন্তত দু’জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অপর ব্যক্তি ৫৪ বছর বয়সী এবং তার অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গেছে।
জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, হামলার পরপরই তারা দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাইফায় ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া, বীরসেবা এবং জেরুজালেমেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কারণে বেশ কিছু ভবনের ক্ষতি হয়েছে।
নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা?
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইরানের এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর আগে এমন নির্ভুল এবং ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ইসরাইলে দেখা যায়নি। টাইমস অব ইসরায়েলের সূত্র মতে, এই হামলা ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি শক্তিশালী প্রদর্শন।
ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া
হামলার পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সামরিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
ইসরাইল-ইরান সংঘাত প্রতিদিনই নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উত্তেজনা পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এমন পাল্টাপাল্টি হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।
0 মন্তব্যসমূহ