Header Ads Widget

২১ দিনে এলো ২৪ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

 ✏অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১০:১০




চলতি জুন মাসের প্রথম ২১ দিনেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৯৯ কোটি (১.৯৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। এটি দেশের মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রোববার (২২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।


বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, জুন মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এ গতি বজায় থাকে, তবে মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করতে পারে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আরও স্থিতিশীলতা আনবে।


রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ


বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতিই এই ধারাবাহিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠেছেন, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে।


মে মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স


গত মে মাসে প্রবাসীরা দেশে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১.৭ শতাংশ বেশি। এটি মাসিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এর আগে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।


২০২৪-২৫ অর্থবছরের রেমিট্যান্সের পরিসংখ্যান


চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ২ হাজার ৩২৮ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, এ বছর রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স পরিসংখ্যান:


জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার


আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার


সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার


অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার


নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার


ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার


জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার


ফেব্রুয়ারি: ২৫২.৮০ কোটি ডলার


মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার


এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার


মে: ২৯৭ কোটি ডলার




রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ ও প্রণোদনামূলক নীতিমালা যদি অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে আশা করা যায়।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ