✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ৬:২৮
দুই সপ্তাহের ভয়াবহ সংঘাত শেষে ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য দেননি। ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করলেও খামেনির নীরবতা দেশ-বিদেশে নানা আলোচনা ও জল্পনা তৈরি করেছে।
সর্বোচ্চ নেতার নীরব ভূমিকা
বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় খামেনির বক্তব্যই শেষ কথা। তার অনুপস্থিতি এবং কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসায় ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খামেনি বর্তমানে তেহরানের নিয়মিত বাসভবনে অবস্থান না করে নিরাপদ বাঙ্কারে আছেন বলে শোনা গেলেও ইরান সরকার তা নিশ্চিত করেনি।
সর্বশেষ গত ১৮ জুন তার আগে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এর পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে আর কোনো বক্তব্য দেননি।
সংঘাতের পটভূমি
ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাল্টা মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু করে। এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণে ইসরাইল ও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালায়। প্রায় ১২ দিনের সংঘাতের পর দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ইরান জানিয়েছে, ইসরাইল আক্রমণ বন্ধ করলে তারাও গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, ইসরাইল জানিয়েছে যে, তাদের সামরিক অভিযান মূল লক্ষ্য অর্জন করেছে।
ট্রাম্পের ভূমিকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে এটিকে একটি “স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খামেনির নীরবতা এই যুদ্ধবিরতির দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তার বক্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছে ইরানসহ আন্তর্জাতিক মহল। বিশেষ করে, ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে খামেনির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও যুদ্ধবিরতি ইরান ও ইসরাইল উভয়ের সামরিক অভিযানে আপাতত বিরতি দিয়েছে, তবে এটি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে খামেনির মতামত ও ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
0 মন্তব্যসমূহ