পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান বর্তমানে কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আসন্ন ১১ জুন তার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হতে পারে, কারণ সেদিন আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার দণ্ড বাতিলের বিষয়ে আদালতের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একইদিন তার স্ত্রী বুশরা বিবির আপিলের শুনানিও অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পিটিআই নেতা গওহর আলী খান জানিয়েছেন, ১১ জুন দিনটি ইমরান খান ও তার স্ত্রীর জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ দিন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করতে পারে। যদিও তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি, তবে রাজনৈতিক মহলে দিনটিকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এর আগে, পাকিস্তানের হাইকোর্ট ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবেলিটি ব্যুরো (ন্যাব)-এর অনুরোধে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১১ জুন নির্ধারণ করে। ন্যাব যুক্তিতর্ক প্রস্তুত করতে অতিরিক্ত সময় চাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, গওহর আলী খান আরওয়াই নিউজ-কে আরও জানিয়েছেন, ইমরান খানের নেতৃত্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তারা একটি বৃহৎ গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদুল আজহার পর ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ইমরান খান ক্ষমতায় আসেন। তবে ২০২৩ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। বর্তমান সরকারের দাবি, এই ট্রাস্টের মাধ্যমে ইমরান খান কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন। তবে ইমরান খান এসব অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে আসছেন।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস, বিজনেজ টুডে
0 মন্তব্যসমূহ