Header Ads Widget

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে কাতারের বিচার

 ✏অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ৭:২৫



মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায়। মার্কিন বিমানঘাঁটি আল-উদেইদে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘের কাছে বিচার দিয়েছে কাতার। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দাবিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রেরণ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


কাতারের বক্তব্য


কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে হামলাকে ‘চরম বিপজ্জনক উসকানি’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে অভিহিত করা হয়।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাতার এর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। কাতার সরকার দোহায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।


হামলার পরিপ্রেক্ষিত


সোমবার (২৩ জুন) রাতে আল-উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ছোড়া স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামলার পর কাতার ও ইরাকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং আকাশে আলোর ঝলক দেখা যায়।


কাতার দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করেছে। এদিকে বাহরাইন, কুয়েত, ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া


মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাতারের এই বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও আলোচনার জন্ম দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে কাতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চায়।


পরবর্তী পদক্ষেপ


কাতার আশা করছে, জাতিসংঘ দ্রুত এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণেরও ইঙ্গিত দিয়েছে।


মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি যে আরও জটিল হতে যাচ্ছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ