✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪, ২৫ মে ২০২৫
রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রেমের টানে এক মুসলিম গৃহবধূ স্বামী, সন্তান ও ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনা এলাকাজুড়ে তৈরি করেছে তীব্র আলোড়ন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
রামকান্তপুর ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া গ্রামের আবুল কাসেম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার সাথীর বিয়ে হয় একই গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক ও মুদি দোকানি আব্দুল কাদের মিয়ার সঙ্গে। তাদের ১৮ বছরের সংসারে রয়েছে ১০ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান।
তবে সেই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন সাদিয়া। অভিযোগ, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে হাজীগঞ্জের শৈকত কর্মকারের সঙ্গে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে গভীর হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সাদিয়া তার স্বামীকে তালাক দেন কাজি অফিসের মাধ্যমে। পরদিন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর নোটারি পাবলিক অফিসে গিয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর একই দিন শৈকতের সঙ্গে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান ‘সাথী কর্মকার’।
বিয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে টিকটক ও ফেসবুকে তাদের দাম্পত্য জীবনের নানা মুহূর্ত শেয়ার করতে থাকেন সাথী ও শৈকত। তবে এই সিদ্ধান্তে হতবাক হন এলাকার মানুষজন। মুসলিম ঘরের মেয়ে হয়ে ধর্ম পরিবর্তন, স্বামী ও সন্তান ত্যাগ, এলাকাবাসীর কাছে এক ‘অপকর্ম’ হিসেবে প্রতিভাত হয়।
তবে নাটকীয় মোড় নেয় আরও একবার—বিয়ের দুই মাস না যেতেই সাথী কর্মকার আবার ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে। জানা যায়, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায় শৈকতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তার পরিবার। পরে সালিশি বৈঠকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা হয়।
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে নতুন করে রহস্য ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এমন কর্মকাণ্ড এলাকায় সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ