✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০, ২৫ মে ২০২৫
![]() |
ছবি : অনলাইন |
জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে আজ সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে দুপুর ২টা পর্যন্ত সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহনও স্থগিত রয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি সেবার যানবাহনগুলো জ্বালানি সংকটে পড়েছে, এবং সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এদিকে, ধর্মঘট পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ করা ও সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের অবস্থানে বহাল রাখা
পাম্প সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা
বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল
পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল
বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ
ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যুতে জটিলতা দূর করা, সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদান
অননুমোদিতভাবে ঘর বা খোলা স্থানে তেল বিক্রয় বন্ধ করা
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, মালিকদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
জ্বালানি খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হলে তা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ২টার পর ধর্মঘটের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ঘোষণা আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ