✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ৬:৩২
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ জুন থেকে। দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে শিক্ষাবোর্ড।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে পরীক্ষা স্থগিত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে শুধুমাত্র সেই বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। বন্যা বা অন্য কোনো দুর্যোগের কারণে যেসব এলাকায় পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেসব এলাকায় পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখে নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পরীক্ষাগুলো পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানান, "যে অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, শুধু সেখানকার পরীক্ষাই স্থগিত হবে। অন্য বোর্ডের পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।" তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের তুলনায় এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার কম। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি।
পরীক্ষার কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি
এবার মোট ২,৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আলিমে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি।
আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন বলেন, "পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নফাঁস বা অন্য কোনো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।" তিনি শিক্ষাবোর্ড এবং শিক্ষকদের এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অতীতের প্রেক্ষাপট
সাধারণত এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এবারের পরীক্ষা জুন মাসে শুরু হচ্ছে।
উপসংহার
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর যাতে ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সতর্ক। সব শিক্ষার্থীকে প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ