১. ঘটনা সারসংক্ষেপ
৭ জুন, ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বোমাবর্ষণে এক আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে ১৬ জন নিহত হন, যাদের বলা হচ্ছে “পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা” ।
আশপাশের এলাকা ও আরাফাহের কাছে একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রেও গোলাবর্ষণে আরও আটজন নিহত হয় ।
সারাদেশে ইসরায়েলের রেড-এলার্ট ছাড়াই হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৭৫ জন ছাড়িয়েছে ।
২. প্রতিক্রিয়া ও বিবৃতি
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল জানিয়েছেন, হামলায় কোনো সতর্কতা বা পূর্বনোটিশ ছিল না ।
আহত বা ধ্বংসস্তূপখানা থেকে উদ্ধারকাণ্ডে স্থানীয়রা জানান, “বৃষ্টিভেজাভাবে শুরু হয়েছিল, চিৎকার-উল্টোপুল্টি—সব মিলিয়ে এক মর্মান্তিক দৃশ্য” ।
এক কলাবাবা পরিবার (আবু শরিয়া) এর বাসভবন ছিল আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু; স্থানীয়রা এটিকে “দুষ্ট ইরাধিলতা” বলে মন্তব্য করেছেন ।
৩. লক্ষ্য লক্ষ্যবস্তু ও প্রতিকার
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা মুজাহিদিন ব্রিগেডসের নেতা আসাদ আবু শরিয়াকে সতর্কতা দিয়ে হত্যার লক্ষ্য নিয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে ।
হামাসও এই হত্যাকে স্বীকার করেছে এবং এটিকে “নাগরিক হত্যার অংশ” বলে উল্লেখ করেছে ।
৪. মানবিক সংকটের দিক
সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র গুলিতে গুলি চালিয়ে মার্কিন সমর্থিত “গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন” (GHF) প্রতিটি সাইট বন্ধ করে রেখেছে—এই আট জন নিহত হয়েছে সেই প্রসঙ্গে ।
জাতিসংঘ নবজাতকদের ভয়াবহ অপুষ্টিকর অবস্থা নিয়ে সতর্ক করেছে, গাজায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ এখন ক্ষুধার সম্মুখীন ।
গর্ভবতী নারীদের মধ্যে গর্ভপাত ও শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে—গাজা “ভবিষ্যতের প্রজন্ম হারাচ্ছে” বলে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ ।
৫. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পরিস্থিতির অবস্থা
ইসরায়েল–হামাস সংঘাতে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে গাজায় তীব্র বায়বিক হামলা অব্যাহত। আফ্নাম ঘটনা বহুদিন ধরেই চলছে, যেখানে ইতিপূর্বের রিপোর্ট নির্দেশ করে কেবল ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সরাসরি বিস্ফোরণজনিত মৃত্যু ৪৮,০০০ ছাড়িয়েছে; হলেও সত্যিকারের পরিসংখ্যানে তা আরও বেশি ।
গত এক বছরে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি ইসরায়েলের কার্যক্রমকে “যুদ্ধাপরাধ” বা “গণহত্যা” সন্দেহ করে দেখছে ।
এঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ পাচ্ছে এবং জাতিসংঘ, ইউরোপীয় দেশগুলো—সবাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে চিকিৎসা, খাদ্য ও আশ্রয়ের নিরাপদ প্রবাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয়তা।
এই হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বর্তমানে ৭৫–৭৫+ অনেকে বলে জানানো হয়েছে ।
হামলার সময় বাকিদের উদ্ধার ও চিকিৎসা অনিশ্চিত, স্থানীয়রা করে তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছে।
সহায়তা সঙ্কটে নতুন মাত্রা যুক্ত—বেশি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত ও অধিক প্রান্তিক অভিঘাতে আক্রান্ত
সাবরা আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বোমা হামলা ঘটিয়েছে অর্ধ শতাধিক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে—জনগোষ্ঠী বিশেষত শিশু ও নারী-সহ দেশটির ক্ষুদ্র পরিবারগুলোকে টার্গেট করায় এটি ‘মহাত্ম্য’রও এক পরিমাণে অ্যাটাক প্রতিফলন করছে। পাশাপাশি, এর প্রেক্ষিতে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সহায়তা বিশাল সংকটে পতিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা crescendo এ আছে—চিকিৎসা সুরক্ষা ও মানবিক প্রবেশাধিকার রক্ষায় তীব্রভাবে পদক্ষেপ প্রয়োজন।
---
0 মন্তব্যসমূহ