✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১১, ১৭ জুন ২০২৫
প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন। এটি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ রুজু হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর ১৭ ধারা লঙ্ঘন করে এবং বিভিন্ন বেআইনি কৌশলে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করেছেন। এভাবে তারা প্রায় ২৫৭ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন।
প্রধান আসামি মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু এবং তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০বি/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লি., ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লি. ও সোনালী পেপারস লি.-এর শেয়ারে বিনিয়োগ করে মার্কেট ম্যানিপুলেশনে সরাসরি যুক্ত হন। এ কারসাজির মাধ্যমে তিনি ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে লাভ করেন।
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, সাকিবসহ তিনটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হয়েছিল। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রলুব্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এদিকে, সোমবার আদালত সাকিবসহ মামলার সব আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানকে দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২২ সালে নানা সমালোচনার মুখে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে সংস্থাটি। বর্তমানে সাকিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও অর্থপাচার অভিযোগেও অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।
এই মামলাটি বাংলাদেশে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির অভিযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ