✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১১:২৭
পাকিস্তান সরকার ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করেছে। সাম্প্রতিক পাক-ভারত উত্তেজনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) পাকিস্তানের সরকারি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তানের বিবৃতি
পাকিস্তান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনৈতিক দক্ষতা এবং সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বের জন্য তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে এবং সম্ভাব্য একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।"
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, "ট্রাম্পের কৌশলগত দূরদর্শিতা এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাত রোধে সহায়ক হয়েছে। তার প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ জীবনকে রক্ষা করেছে।"
ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংকটকালীন মুহূর্তে ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে ট্রাম্প দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "এই হস্তক্ষেপ একজন প্রকৃত শান্তিপ্রিয় হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা এবং সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত সমাধানের প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রমাণ। দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অগ্রণী ভূমিকাকে আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি।"
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, "পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। আমার এটি চার বা পাঁচবার পাওয়া উচিত ছিল। অথচ তারা এই পুরস্কার শুধুমাত্র উদারপন্থিদের দেয়। তারা আমাকে এটি দেবে না।"
পাকিস্তানের প্রস্তাব এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাত নিরসনে ট্রাম্পের কূটনৈতিক পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হলেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার প্রস্তাবনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উপসংহার
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তানের এই প্রস্তাব দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। নোবেল কমিটি এই প্রস্তাব বিবেচনা করবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটি নিশ্চিত যে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ