✏মো. আকাশ মাহমুদ,পাংশা ||
প্রকাশিত: ৫:৪৯, ১৭ জুন ২০২৫
আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘আমার বোনের কান্না আর না আর না’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’ — এমন স্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভুযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১২ টার দিকে আতারুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে হাটবনগ্রাম বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন হাটবনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরজিৎ বিশ্বাস, আতারুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের নেতা সজীব রাজা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মাজেদ, পল্লী রানী সরকার, কুঠিমালিয়াট গ্রামের রেজাউল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও এসময় স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকার সচেতন মহল এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্তদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সহ এই ধরনের অপরাধীদের মদতদাতাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তারে পাংশা থানা পুলিশের দক্ষ ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান।
এসময় এক ভুক্তভোগীর পিতা বলেন, “প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
অপর শিক্ষার্থীর মা বলেন, “প্রাইভেট শেষে মেয়ে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। এই বয়সে আমার মেয়ের সঙ্গে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে — আমি এর বিচার চাই।”
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত দুইজন এলাকায় মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এর মধ্যে একজন ডাকাতি মামলায় জেল খেটে কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “ঘটনার পরপরই থানায় দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামি দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী স্কুল থেকে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নওড়া বনগ্রাম এলাকায় এলে সিহাব ও হাসমত আমাদের পথ রোধ করে এবং পকেট থেকে ব্লেড বার করে আমাদের ভয় দেখিয়ে পাশের পানের বরজের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এবং এই বিষয় জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ ঘটনায় রবিবার ( ১৫ জুন) রাতেই ২ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সিহাব মণ্ডল ও হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী আতারুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ