Header Ads Widget

মধ্যপ্রাচ্যের পথে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ যুদ্ধবিমান

 ✏অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১০:২৫



মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে উত্তেজনা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ইসরাইল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি দিন দিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত চার দিনের মধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করেছে ৫২টি মার্কিন সামরিক বিমান। এই তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।


যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম


সাম্প্রতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের আকাশপথে ৫২টি মার্কিন সামরিক বিমান শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি ছিল সেনা ও রসদ পরিবহণকারী, ১৮টি আকাশপথে জ্বালানি সরবরাহকারী এবং ২টি নজরদারি ও গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত।


বিশ্লেষণ বলছে, এই তৎপরতা ইরানে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতিরই ইঙ্গিত দেয়। স্কাই নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে এই বিমানের চলাচল একটি কৌশলগত সংকেত হিসেবে কাজ করছে।


এফ-২২ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ভূমিকা


মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‌্যাপ্টর এবং এফ-৩৫ ফাইটার জেট এই সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ে সরাসরি এদের উপস্থিতি উল্লেখ করা হয়নি, তবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্য থেকে জানা যায়, আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছে এফ-২২ র‌্যাপ্টর। একই দিনে যুক্তরাজ্য থেকে ১২টি এফ-৩৫ ফাইটার জেট মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।


বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিনটি সি-১৭এ গ্লোবমাস্টার-৩ এবং একটি সি-১৩০ হারকিউলিস কার্গো বিমান গ্লাসগোর প্রেস্টউইক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এই বিমানগুলো জার্মানি থেকে যাত্রা করে জর্ডান হয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসে।


কেন এই সামরিক প্রস্তুতি?


ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই তৎপরতা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রস্তুতি শুধু প্রতিরক্ষামূলক নয়; বরং তা সরাসরি আক্রমণের সক্ষমতা প্রতিষ্ঠার দিকে নির্দেশ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র সমন্বয়


ইসরাইলের প্রধান লক্ষ্য ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইল একা এই মিশনে সফল হতে পারবে না। ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার মতো গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানতে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমার প্রয়োজন হবে।


বিশ্ব পরিস্থিতি ও শঙ্কা


যুক্তরাষ্ট্রের সামরিকীকরণ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং এটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্যও শঙ্কা তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ