✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১০:০৭
ইসরায়েলের মুসলিমদের প্রতি দমন-পীড়ন দীর্ঘদিনের ইতিহাস। সাম্প্রতিক সময়ে এ অত্যাচার আরও প্রকটভাবে বিশ্ববাসীর সামনে এসেছে। ইসরায়েলের দমননীতি ফিলিস্তিন সীমান্ত ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকাতেও প্রভাব ফেলছে। এতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
ইরানের ওপর সামরিক অভিযান: নিধনের নতুন নাম ‘নিরাপত্তা’
সম্প্রতি ইরানের নাতানজ, ইসফাহান এবং আরাকের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। অভিযানে প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত এবং ১,৩০০ জন আহত হয়েছেন। সামরিক পরিকাঠামোর আড়ালে বেসামরিক জনগোষ্ঠীই মূলত ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু।
ফিলিস্তিন: মানবিক সংকটের কেন্দ্র
গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়, এটি মানবিক বিপর্যয়। নারী-শিশু নির্বিশেষে মসজিদ, স্কুল, হাসপাতালসহ প্রতিটি স্থাপনাই হামলার শিকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েলের দমননীতি থামছে না।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মুসলিম নাগরিকদের অবস্থা
ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত মুসলিমরা বৈষম্য ও নিরাপত্তাহীনতার শিকার। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে জরুরি সেবার অভাব এবং ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা এ বৈষম্যের উদাহরণ।
লেবানন ও হিজবুল্লাহ: পুরোনো দ্বন্দ্বের পুনর্জাগরণ
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সংঘাতে সীমান্ত অঞ্চলে হাজারো মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে।
বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র: তথ্যপ্রযুক্তি ও ইসলামভীতি
ইসরায়েল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মুসলিমদের ওপর গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে দিয়ে মুসলিম সমাজকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত
মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা ও মুসলিম সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্রূপ ইসরায়েলের দমননীতির আরেকটি দিক।
টার্গেটেড কিলিং: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
ইসরায়েল সন্দেহের ভিত্তিতে মুসলিম নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।
উপসংহার
ইসরায়েলের নীতি শুধু মুসলিমদের নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও হুমকি। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ নিপীড়নের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ