চব্বিশের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আব্দুল গনি শেখের স্ত্রী লাকি বেগম বলেছেন- আমার এক ছেলে ও মেয়েকে রেখে তার বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি আমার সন্তানরা যেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।
জুমার নামাজের পর রাজবাড়ী সদর ও খানখানাপুর বিএনপির আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুনবাজার এলাকায় গনির নিজ বাড়ির পাশের মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ গনির কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে গনির বাবা আব্দুল মজিদ শেখ, স্ত্রী লাকী বেগম, ছেলে আলামিন শেখ ও মেয়ে শিশু জান্নাত দোয়া করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন এবং জেলা বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া বলেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন গনি। তার মৃত্যুতে পরিবারে অসহায়ত্ব নেমে আসে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাদের পাশে রয়েছি। আজ জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। এছাড়াও তার ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ আমরা বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানে সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন গনি শেখ। গত বছরের ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন তিনি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। এতে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে ছিলেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ