বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্তের এক দশক পর, দেশটিতে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জানিয়েছে, একই এলাকার পাঁচজন ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই তথ্য পেয়েছেন। জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে পাওয়া এই ভাইরাসটি এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত। এই স্ট্রেইন ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনে শনাক্ত হয়েছিল।
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণে মাইক্রোসেফালি এবং অন্যান্য স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার প্রজননের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে, যার ফলে এ ধরনের মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
১৯৪৭ সালে উগান্ডায় প্রথমবারের মতো বানরের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং ১৯৫২ সালে মানবদেহে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভাইরাসটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এডিস মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ায়, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ করে। তবে আশি শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণ ধরা পড়ে না, এবং ভাইরাসটি বছরের পর বছর শরীরে থাকতে পারে। এমনকি, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও জিকা ভাইরাস ছড়াতে পারে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস শিশুর জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ