মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে শিশুটি রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে আপন বোনের বাড়ি মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তার রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের কর্মীরা।
শিশুটির ছোট চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, চার-পাঁচ মাস আগে বড় ভাতিজিকে বিয়ে দেওয়া হয়। সুযোগ পেলে তার শ্বশুর হিটু শেখ তাকেও বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন বলে শুনেছি। যার কারণে বড় ভাতিজি বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল। পরে তাকে বুঝিয়ে আবার শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শিশুটির ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে বড় বোনের শ্বশুর জড়িত বলে দাবি করছে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে হিটু শেখকে আটক করেছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি ওয়ার্ডের ডা. শিরিন সুলতানা বলেন, শিশুটির অবস্থা ভালো নয়। তার শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ইতোমধ্যে সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। অভিযুক্ত হিটু শেখকে আটক করা হয়েছে।
2 মন্তব্যসমূহ
এরা তো চতুষ্পদ প্রাণীর চাইতে নিকৃষ্ট আসামীকে জনসম্মুখে ফাঁসি অথবা ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয়া হোক অর্থাৎ জবাই করা হোক। 😡😡😡
উত্তরমুছুনজানোয়ার একটা।
উত্তরমুছুনএই রমজান মাসে দোয়া করি আল্লাহর কাছে, ওই জানোয়ারের যেন খুব ভয়ঙ্কর ভাবে মৃত্যু হয়, ২/৩ দিনের মধ্যে 🤬🤬