রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দরিদ্র পরিবারগুলো বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও তারা সাড়ে ৮ থেকে ৯ কেজি চাল পাচ্ছেন। অন্যদিকে, কিছু ব্যক্তি একাধিক কার্ডে ৩০-৪০ কেজি চাল নিয়ে যাচ্ছেন, যা নিয়ে সাধারণ উপকারভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সরেজমিনে কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় দেখা যায়, বালতিতে চাল পরিমাপ করা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে কোনো পরিমাপ যন্ত্র নেই। উপজেলা ট্যাগ অফিসারসহ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টির তত্ত্বাবধান করলেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উপকারভোগীরা অভিযোগ করেন, তারা সঠিক পরিমাণে চাল পাচ্ছেন না। সাজুরিয়া গ্রামের বিধবা জোহুরা বেগম বলেন, "আমার স্বামী নেই, আমি অসুস্থ, কিন্তু আমি কোনো কার্ড পাইনি। অথচ অনেকে একাধিক কার্ডের চাল নিয়ে যাচ্ছে।" হোসেনডাঙ্গা গ্রামের আহাদ আলী বলেন, "তিন কার্ডে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে দেওয়া হয়েছে ২৭ কেজি।"
ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, "তাড়াহুড়োর কারণে দুই-একশ গ্রাম কম হতে পারে।" তবে স্থানীয়দের দাবি, এমন অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হজরত আলী খান বলেন, "বালতি ভরে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে, তবে কেউ চাইলে মিটার এনে মেপে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।" ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. বিলকিস বানু বলেন, "আমি তিন দিন ধরে বাইরে আছি, তবে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে আমি কঠোর নির্দেশ দিয়েছি।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আবু দারদা বলেন, "বিষয়টি জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে চাল বিতরণের নির্দেশ দিয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সূত্র : কালবেলা
0 মন্তব্যসমূহ