রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় ছিনতাই মামলায় এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি ইকবাল শেখকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইকবাল পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি রাজবাড়ি জেলা শাখার জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ মার্চ পাট্টা হাইস্কুলের সামনে একটি পাকা রাস্তায় মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গী আব্দুল লতিফ জমি রেজিস্ট্রির জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ইকবাল শেখ ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে ছিনতাইকারীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ২০ মার্চ মিজানুর রহমান পাংশা থানায় একটি মামলা করেন, যা ছিনতাই মামলার হিসেবে নথিভুক্ত হয় (মামলা নং-২৮)।
২০ মার্চ দুপুরে পাংশা মডেল থানার একটি বিশেষ টিম পাট্টা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ইকবাল শেখকে গ্রেফতার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই শফিউদ্দিন, এসআই নজরুল ইসলাম, এসআই শিহাবুদ্দীন, এএসআই পরিতোষ মজুমদার ও এএসআই শফিকুল ইসলাম।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ইকবাল নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার কোনো সাংবাদিক পরিচয়পত্র নেই। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইকবাল নিজেকে ক্ষমতাবান ভেবে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তিনি নিজেকে পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবেও প্রচার করতেন। তবে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত করেছেন যে, ইকবাল তাদের ক্লাবের কোনো সদস্য নন। গ্রেফতারের আগে ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, ইকবাল পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা এবং হুমকি দেন।
0 মন্তব্যসমূহ