রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার দক্ষিণবাড়ী গ্রামের এক সাধারণ মানুষ নিয়ামত আলী। সংসারে চার মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীসহ সাতজনের দায়িত্ব তার কাঁধে। দীর্ঘ বিশ বছর অন্যের হোটেলে কাজ করেও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি ঘটাতে পারেননি তিনি। তবে তার এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই হয়ে উঠল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
অভাবের সাথে লড়াই করা এই মানুষটির জীবনে নতুন আশার আলো হয়ে আসে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি পান ৩ লক্ষ টাকা মূলধন, যা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন "নিয়ামত হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার"।
সঠিক পরিকল্পনা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এমন একটি বাজারে হোটেল চালু করেন, যেখানে ক্রেতা সংখ্যা বেশি থাকলেও মানসম্মত খাবারের অভাব ছিল। তার এই কৌশল কাজে লেগেছে, বর্তমানে বাজারের প্রায় সব মানুষই তার কাস্টমার।
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তার হোটেল জমজমাট ব্যবসা করছে। দৈনিক ৮০০ টাকা লাভ করলে মাস শেষে তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ২৪ হাজার টাকা। এই সাফল্য নিয়ামত আলীর জীবন পরিবর্তনের পাশাপাশি তার পরিবারের ভবিষ্যতকেও নিরাপদ করেছে।
নিয়ামত আলীর এই সাফল্যের পেছনে তার কঠোর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার এই উদ্যোগ যেন আরও বড় পরিসরে এগিয়ে যেতে পারে, সে প্রত্যাশাই করি।
0 মন্তব্যসমূহ