মো. আকাশ মাহমুদ, পাংশা
রাজবাড়ীর পাংশায় পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে এক মৎস্যচাষির প্রায় ৫০ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া বোন-গা বড় বিলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাতে কোন এক সময় কেউ বা কাহারা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মো: সোলেমান মন্ডল (৫২) নামে এক মৎস্যচাষির প্রায় ৫০ মণ মাছ নিধন করেছে। এতে ওই মৎস্যচাষির ৫ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি মো: সোলেমান মন্ডল পাংশা পৌরসভার কুলটিয়া এলাকার বাহাদুর মন্ডলের ছেলে।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর লিজ নিয়ে লোক দিয়ে মৎস্যচাষ তার পেশা।
মৎস্যচাষি মো: সোলেমান মন্ডল বলেন,সরিষার বাদশা শেখ এর কাছে থেকে এক বছরের জন্য দুইটি পুকুর ২ লাখ টাকায় লিজ নিয়েছি।গত ৫ মাস আগে সাড়ে ২৭ মণ মাছ ছেড়েছিলাম। প্রথম থেকেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা আমাকে এখানে মাছ চাষে বাধা দিয়ে আসছিল। তবুও চার জন কর্মচারী রেখে মাছ চাষ করে আসছি।বিলের মধ্যে পুকুর হওয়ায় দিনের বেলা লোক থাকলেও রাতে থাকা হয় না।গত রাতে ১০ টার দিকে জানতে পারলাম পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে। রাতেই আমি এসে দেখি আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে মৎস্যচাষের সাথে জড়িত। এক সময় আমি ৩০ টি পুকুরে মৎস্যচাষ করতাম। আওয়ামীলীগের সময় মামলা হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার ভাগ্য বদলের আশায় মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এক রাতেই আমার সব শেষ হয়ে গেলো। তবে তিনি মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি থানায় মামলা করবো। যারা এই কাজ করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যাতে করে আর কারো সাথে এমন অন্যায় না হয়।
মো: খাইরুল ইসলাম নামে অন্য এক মৎস্যচাষি বলেন, যারা মাছের সাথে শত্রুতা করে তারা জানোয়ারের সমতুল্য। আমার কয়েকজন পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। আমি চাই যারা এমন জঘন্য কাজ করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো: সালাউদ্দিন বলেন, এখনও কোন লিখত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ