৫ আগস্ট পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের

 ✏অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৬ মে ২০২৫

ছবি : অনলাইন 


৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন আতঙ্কে পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল–এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান তিনি।

সেদিনের ভয়াবহতা স্মরণ করে কাদের বলেন, “আমি খুবই ভাগ্যবান। হয়তো বাঁচার কথা ছিল না। নিজের বাসা ছেড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। চারদিকে মিছিল, সংসদ এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। শুরু হয় লুটপাট। ওই বাড়িতেও হামলা হয়।”

তিনি জানান, আক্রমণকারীরা জানতেন না তিনি সেখানে আছেন। তিনি স্ত্রীসহ বাথরুমে আশ্রয় নেন। পাঁচ ঘণ্টা সেখানে লুকিয়ে ছিলেন। একসময় বাথরুমে ঢুকতে চায় কিছু যুবক। তার স্ত্রী বলেন, তিনি অসুস্থ। শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে দিলে, তারা আচমকা ব্যবহার বদলায়—সেলফি তোলে, ছবি তোলে, কেউ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে, কেউ জনতার হাতে।

পরবর্তীতে তাকে সাধারণ রোগীর পরিচয়ে ইজি বাইকে করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, “আমি কখনো বলিনি ছাত্রলীগকে অভ্যুত্থান দমন করতে। ইউটিউবে অনেকে যা বলছে, তা সত্য নয়।”

জনরোষের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে একদফায় রূপ নেয়। গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং ষড়যন্ত্রের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

চাঁদাবাজি বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি কোনো পদ বিক্রি করিনি, কমিশন খাইনি।”

দীর্ঘদিন নীরব থাকার কারণ প্রসঙ্গে জানান, অসুস্থ ছিলেন। শেখ হাসিনা নিজে তার খোঁজ নিয়েছেন।