বালিয়াকান্দিতে কিশোরীকে ধর্ষণ ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার

 ✏অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১:৩০, ২৬ মে ২০২৫

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানাধীন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী সুদীপ্ত হালদার ওরফে সুমন (পিতা: অমুক, সাং: অমুক, থানা: রামপাল, জেলা: বাগেরহাট) কে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত আনুমানিক দুই মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে। আসামী ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলায় এবং নিজেকে সরকারি চাকুরিজীবী পরিচয় দেয়। গত ২২ মে ২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১০টা নাগাদ আসামী ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করে। ভিকটিমের ঘরে অবস্থানকালীন রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি সংঘটিত হয়। পরদিন ভোররাতে ভিকটিম দেখে ঘরে রাখা সাব-বাক্স খোলা এবং সেখান থেকে প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২,৫০,০০০ টাকা এবং একটি বাটন মোবাইল সেট চুরি হয়।

এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার ২৪ মে ২০২৫ তারিখ বালিয়াকান্দি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন (এফআইআর নং-১২; ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ও দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৩৮০ ধারা)।

মামলাটি পুলিশ সুপার রাজবাড়ী মহোদয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জনাব মোঃ শরীফ আল রাজীব, পিপিএম-সেবা এবং সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) জনাব দেবব্রত সরকারের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব জামাল উদ্দিনের সহযোগিতায় পুলিশ টিম অভিযান পরিচালনা করে।

আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে, মোবাইলের আইএমইআই ও সিডিআর বিশ্লেষণ করে ২৫ মে ২০২৫ তারিখ সকাল ৬টায় বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন নিজ বাড়ি থেকে সুদীপ্ত হালদার ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয়:

স্বর্ণালংকারের মোট ওজন: ২ ভরি ৩ রতি ৫ পয়েন্ট (মূল্য আনুমানিক ২,৯৩,০২০ টাকা)

ভিকটিমের চুরি যাওয়া SYMPHONY B70 মোবাইল সেট

আসামির ব্যবহৃত অপর SYMPHONY B70 সেট ও সংশ্লিষ্ট সিম

উদ্ধারকৃত মালামাল জব্দ তালিকা মোতাবেক রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে এবং আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।