Header Ads Widget

রাজবাড়ীতে যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীসহ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

 


রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে হাবিব মোল্লা (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৪টার দিকে কালুখালী উপজেলার বাংলাদেশ হাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।


গ্রেফতার হাবিব মোল্লা পাংশার বড় চৌবাড়িয়া গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে।


মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হাবিবের সঙ্গে কালুখালীর পাকশিয়া গ্রামের বারেক শেখের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হাবিব ও তার পরিবার বিথির কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। বিথির পরিবার শান্তিপূর্ণ দাম্পত্য জীবনের আশায় নগদ আড়াই লাখ টাকা এবং একটি গাভী দেয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় ১০ লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং বিথির উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।


২০২৪ সালের ১ এপ্রিল চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিথিকে যৌতুক দিতে অস্বীকৃতির কারণে হাবিব ও তার পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাকে জোর করে রাজবাড়ীর জাগির মালঞ্চি গ্রামের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জয় কুমার বিশ্বাসের চেম্বারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আনা ওষুধ খাওয়ানোর পর বিথির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।


পরিবারের সদস্যরা বিথিকে দ্রুত পাংশা শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন, যেখানে চিকিৎসকরা জানান—তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে এবং জরুরি ‘ওয়াশ’ করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার গর্ভ পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


এ ঘটনায় বিথির মা রাবেয়া বেগম গত ৬ মে পাংশা মডেল থানায় হাবিব মোল্লা, তার বাবা হাচেন আলী, মা জাহানারা বেগম, বোন হাসি খাতুন এবং ভগ্নিপতি ফজলু আলী মোল্লাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।


র‍্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার জানান, শুক্রবার বিকেলে হাবিব মোল্লাকে গ্রেফতার করে পাংশা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ