✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০৪, ২৯মে ২০২৫
জাপান সরকার এবং দেশটির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। জাপানে দিন দিন বাড়তে থাকা শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
সেমিনারে বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ প্রতিষ্ঠান কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়। পাশাপাশি, বিএমইটি আরও একটি সমঝোতা চুক্তি করে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস ও জেবিবিআরএ (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি)-এর সঙ্গে, যারা জাপানের ৬৫টিরও বেশি কর্মী গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, “জাপানে কর্মসংস্থানের এই উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এটি শুধু একটি চাকরির সুযোগ নয়, বরং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার একটি পথও বটে। আমাদের দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী ২৭ বছরের নিচে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে বিপুল মেধা ও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মেধাকে যথাযথভাবে লালন করা আমাদের কর্তব্য।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, “জাপানে ২০৪০ সালের মধ্যে শ্রমিক সংকটের পরিমাণ এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ শ্রমিক প্রেরণের মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজারে একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের তরুণ কর্মীদের জন্য জাপানে আন্তর্জাতিক মানের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হল।
0 মন্তব্যসমূহ