✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ৫:৫৩
সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা ১২ দিনের সংঘাতের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে সময়মতো আত্মগোপনে গিয়ে নিজেকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হন তিনি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ক্যান পাবলিক ব্রডকাস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “যদি খামেনি আমাদের নাগালের মধ্যে থাকতেন, আমরা তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতাম। কিন্তু তিনি ঝুঁকি আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই গোপন স্থানে সরে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। ফলে তাকে টার্গেট করা সম্ভব হয়নি।”
১৩ জুন শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইসরায়েল একাধিক ইরানি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে। যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনির জীবনের ঝুঁকির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অনেকেই এটিকে ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’-এর সূচনা হিসেবে দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলতি সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনি। ভিডিওতে তাকে কিছুটা ক্লান্ত ও ভারী কণ্ঠে কথা বলতে দেখা গেলেও তার বক্তব্য ছিল স্পষ্ট ও আগ্রাসী।
তিনি বলেন, “আমরা কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আমেরিকাকে চপেটাঘাত করেছি। যদি আরও উসকানি দেওয়া হয়, তবে ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করবে না।”
যদিও খামেনি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হওয়ার দাবি তিনি গুরুত্বহীন ও অকার্যকর বলে উড়িয়ে দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির এই বার্তা একদিকে যেমন ইরানিদের মনোবল ধরে রাখার কৌশল, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের অবস্থানও তুলে ধরা। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আবারো উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
সূত্র: দ্য ইকনমিক টাইমস
0 মন্তব্যসমূহ