Header Ads Widget

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই পরীক্ষার্থী

 ✏অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ৭:৩১


স্ট্রোক করা মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি আনিসা আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। তবে মানবিক বিবেচনায় তাকে পরবর্তীতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।


বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ব্যারিস্টার কাজল জানান, আনিসার সঙ্গে তার সরাসরি কথা হয়েছে। একইসঙ্গে কথা হয়েছে আনিসার মায়ের এবং আনিসার কলেজ—ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান স্যারের সঙ্গেও। বিষয়টি সমন্বয় করতে সহায়তা করেন বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের নেতা শিব্বির আহমেদ উসমানি।


পোস্টে ব্যারিস্টার কাজল জানান, আনিসার বাবা দুই বছর আগে মারা গেছেন। পরিবারের একমাত্র অভিভাবক অসুস্থ মা, যাঁর দেখাশোনার পুরো দায়িত্ব আনিসার ওপর। পরীক্ষার দিন সকালে মায়ের স্ট্রোক হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হয় আনিসাকে। পরে কেন্দ্র মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে পৌঁছালেও দেরি হওয়ায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।


ব্যারিস্টার কাজল বলেন, “শিক্ষকরা আনিসাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। আজও তারা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন। যদিও দেখা হয়নি, তবে তারা আশা করছেন, বিশেষ বিবেচনায় আনিসার ওই পরীক্ষাটি পরে নেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।”


তিনি আরও বলেন, “২০০০ সালে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩২ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে একটি মামলার নজির দেখিয়ে আমি আইনগত দিকটিও তাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি, আনিসাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না।”


ব্যারিস্টার কাজল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মানবিক দৃষ্টিতে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আনিসা যেন পরবর্তী পরীক্ষাগুলো নির্বিঘ্নে দিতে পারেন।


সারাদেশে বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই এমন মানবিক ঘটনাটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নও সামনে এনেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ