✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ২:৫০
গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো টিকা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “ভ্যাকসিন যেন নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে পশুর রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন।”
শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় গৃহীত পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের অধীনে গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম পর্যায়ে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ভোলা—এই চারটি জেলায় টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ফরিদা আখতার বলেন, “গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রোগ প্রতিরোধে শুধু মাংস উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য নয়, বরং পশুর স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভ্যাকসিন যেন সময়মতো দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খামারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপনাদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।”
উপদেষ্টা জানান, এলএসডি রোগের ভ্যাকসিন দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনের চেষ্টা চলমান রয়েছে। কোরবানির হাটে আক্রান্ত গরু আসার গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, “অনেকে দাবি করলেও বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত গরু হাটে আসেনি।”
দুধের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দুধের দাম না পাওয়ায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানির পরিবর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপন জরুরি। এতে স্থানীয় খামারিরা উপকৃত হতেন এবং দেশের দুধ উৎপাদন খাত আরও শক্তিশালী হতো।” তিনি গুড়া দুধ আমদানিকে ‘লজ্জার বিষয়’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, “খামারিরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। প্রকল্পের সফলতা তাদের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন, অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান, প্রকল্প পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এবং সুফলভোগী খামারি সেবিকা মন্ডল ও আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচিত জেলার গবাদিপশু খামারি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
---
প্রতিবেদন: রাজবাড়ী সার্কেল অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ