✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১৭, ১৯ জুন ২০২৫
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত বুধবার (১৮ জুন) নেটজারিম করিডোরে সালাহউদ্দিন সড়কে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। এ ঘটনায় প্রাণ হারান বহু নিরীহ মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহতরা খাদ্য সহায়তা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যাপক হামলা
একই দিনে গাজাজুড়ে চালানো হয় ব্যাপক হামলা। দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে শরণার্থী তাঁবুতে হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন। জেইতুন ও মাজাজি ক্যাম্পে বিমান হামলায় একই পরিবারের সদস্যসহ বহু প্রাণহানি ঘটে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গুরুতর জ্বালানি সংকটে ভুগছে হাসপাতালগুলো। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হাসপাতালে মাত্র তিন দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে। ‘রেড জোন’-এর অজুহাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাধা দেয়া হচ্ছে জরুরি জ্বালানি সরবরাহে।
মানবিক সহায়তা বিতরণেও রক্তপাত
মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম ঘিরেও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের ফলে অসংখ্য সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামাস অভিযোগ করেছে, এই বিতরণব্যবস্থা মূলত ইসরাইলের সামরিক লক্ষ্য পূরণে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা
ইসরাইলের প্রতিদিনকার এই হত্যাকাণ্ডকে ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত’ বলে দাবি করছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা এরই মধ্যে সাহায্য বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করেছে গাজার স্থানীয় প্রশাসন।
সংকটাপন্ন হাসপাতাল ব্যবস্থা
গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জরুরি চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা এবং শরণার্থী ক্যাম্পে চালানো ইসরাইলি সেনাদের বর্বরতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ