✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৩, ১৯ জুন ২০২৫
গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী এবং ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার।
বুধবার (১৮ জুন) নোবেলের আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন করেন, যেখানে বলা হয়, বাদী এবং আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। বর্তমানে দুজনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার এবং মামলা সংক্রান্ত ঘটনা:
গত ১৯ মে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাদী তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও আটকে রাখার অভিযোগ এনে মামলা করেন। বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর, নোবেল তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সেই সময় নোবেল এবং তার সহযোগীরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
পরবর্তীতে ওই নারীকে সাত মাস ধরে বাসায় আটক রাখা হয়। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তার পরিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে তাকে উদ্ধার করে।
নোবেলের অতীত এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড:
নোবেল ২০১৯ সালে ভারতের জি-বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তবে তিনি বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২৩ সালে কুড়িগ্রামের একটি কনসার্টে তার ‘অসংলগ্ন আচরণে’ ক্ষুব্ধ দর্শকরা মঞ্চে জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নোবেল নিজের জীবনকে স্বাভাবিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে এবার নতুন মামলার কারণে আবারও তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন।
আদালতের নির্দেশ ও প্রতিক্রিয়া:
এই বিয়ের নির্দেশ আদালতের একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অনেকের মতে, এটি সমাজের কিছু বিষয়ে সচেতনতা আনতে সহায়ক হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে।
এই ঘটনায় নোবেল ও তার সাবেক শিক্ষার্থীর নতুন জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও, সমাজে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ