Header Ads Widget

দোয়া কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে ৩ সময়

 ✏অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮:৩০, ১৭ জুন ২০২৫


দোয়া ইসলামের অন্যতম ইবাদত। হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের মগজ বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ কোরআনে বান্দাদের দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়মিত দোয়া করতেন।


পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:

‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’

(সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)


দোয়া কবুলের কয়েকটি বিশেষ সময় হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। নিচে সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো তুলে ধরা হলো:



---


১. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়


আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দোয়া কবুল হওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্ত।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’

(তিরমিজি, হাদিস: ২১২)



---


২. ফরজ নামাজের পর


ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম উত্তম সময়।

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক সাহাবি রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন:

‘হে আল্লাহর রাসূল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়?’

তিনি জবাব দিলেন:

‘রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর।’

(তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৯৮)



---


৩. রাতের শেষ প্রহর


রাতের শেষ প্রহর দোয়া কবুলের অন্যতম সময়।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

‘মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে (যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তিনি তখন বলেন:

“আছ কি কোনো আহ্বানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।”’

(মুসলিম, হাদিস: ৭৫৮)



---


বিশেষ মুহূর্তগুলো


এছাড়াও দোয়া কবুলের সময়গুলোর মধ্যে রয়েছে:


রোগাক্রান্ত অবস্থায়


দূরবর্তী সফরের সময়


বালা-মসিবতের মুহূর্ত


মা-বাবার দোয়া



দোয়া করার নিয়ম ও বিশ্বাস:

দোয়া কবুলের জন্য দৃঢ় বিশ্বাস থাকা জরুরি। পাশাপাশি অব্যাহতভাবে দোয়া করতে হবে। সঠিক সময়ে দোয়া করলে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ