আজ ১৯ জুলাই, বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শহীদ সাগর আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের এই দিনে রাজধানীর মিরপুর-১০ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
সাগরের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামে। বাবা তোফাজ্জেল হোসেন ও মা গোলাপী বেগমের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। পরিবারের সকল আশা-ভরসা আর স্বপ্ন ছিল সাগরকে ঘিরে। ছেলেকে হারিয়ে পরিবারটি এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি।
ঘটনার পরদিন ২০ জুলাই সাগরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
সহপাঠীরা জানান, সাগর ছিলেন শান্ত, ভদ্র এবং সচেতন প্রকৃতির ছাত্র। তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। কেবল ন্যায্যতার পক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন।
সাগরের সহপাঠী এস.এম মঈন জানান, সাগর ছিলেন মানবিক ও নিরীহ প্রকৃতির একজন মানুষ। তিনি বলেন, ‘সে ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে মানবিক ও নিরীহ প্রকৃতির, সাগর কোনোকিছুর সাত-পাঁচে থাকত না। এখন তার নামটা শুধুই স্মৃতি।’
সাগরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাঙলা কলেজে তার সহপাঠীদের উদ্যোগে অল্প পরিসরে একটি দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাকছাস) আয়োজন করেছে বাঙলা কলেজ থেকে মিরপুর-১০ পর্যন্ত এক পদযাত্রা এবং বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাগরের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ছাত্র মহলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার আত্মত্যাগ এক প্রতীক হয়ে ওঠে।
0 মন্তব্যসমূহ