শনিবার (১২ জুলাই) বেলা ২টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি টের পেলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নূরতাজের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নুরতাজ আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের আজাদ মালিথার ছোট মেয়ে সে স্থানীয় নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল
খবর পেয়ে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিতসহ পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
নূরতাজের বাবা পেশায় দিনমজুর। তার মা ঢাকা পোস্টকে বলেন, “গত কয়েকদিন যাবত স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল নূরতাজ। তাৎক্ষণিকভাবে দিনমজুর বাবার পক্ষে কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি নিজেও বলেছি, প্রয়োজনে তোমার নানী বাড়ি থেকে টাকা এনে স্মার্টফোন কিনে দেবো। তবে আমার মেয়েটা অপেক্ষা করল না”— বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে গোসল করার পর নিজ ঘরে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দেয় নূরতাজ। অনেক ক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের কোনের একটি ফাঁক দিয়ে নূরতাজের বড় বোন উঁকি দিয়ে দেখতে পান ঘরের আড়ার সাথে তার ছোটবোন ঝুলছে । তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান ( পিপিএম ) ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দরিদ্র দিনমজুর বাবার পক্ষে স্মার্টফোন কিনে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ