রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসীরা। রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে সড়ক ও বসতবাড়ি। ফলে বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন বাসিন্দারা।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভা ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও নাগরিক সেবার মান বাড়েনি। অর্ধলক্ষাধিক মানুষের এ পৌর এলাকায় এখনো অধিকাংশ স্থানে নেই সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানির লাইন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অর্ধেক সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাসের পর মাস জমে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বাসিন্দা মনিরুজ্জামান শোভন বলেন, “পাংশার ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই অচল। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়।” ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকলিমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার উঠানে পানি, ঘরে ঢুকতে হাঁটু পানি পার হতে হয়। বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দি থাকি আমরা।”
পৌরবাসীর দুর্ভোগ স্বীকার করে পৌরসভার প্রশাসক ও পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা বলেন, ইতোমধ্যে ড্রেনেজ উন্নয়ন ও সড়ক সংস্কারে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে বাউন্ডারি দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, শিগগিরই বড় প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরবাসীর জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হবে।
সংবাদ প্রতিবেদন ; dhakapost
0 মন্তব্যসমূহ