Header Ads Widget

জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বিএনপিকে : তারেক রহমান

 



বিএনপি যদি ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে আগে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “জনগণ যদি আপনাকে গ্রহণ করে তবেই আপনি নেতা। আর জনগণ যদি আপনাকে প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে আপনি নেতা নন।”


সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কিছু কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


তারেক রহমান বলেন, “আপনি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল কিংবা বিএনপিপন্থী আইনজীবী— যে পর্যায়ের নেতাকর্মীই হোন না কেন, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ, জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দরকার জনগণের সহায়তা।”


ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুবদলের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “যখন দমন-পীড়ন চরমে ছিল, তখনও যুবদল রাজপথ ছাড়েনি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ জনগণ আপনাদের পাশে ছিল এবং বিশ্বাস করেছিল। তাই সেই আস্থা ধরে রাখতে হবে।”


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “বেকার যুবক ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার কোর্স চালু করা হবে যাতে তারা বিদেশে কাজের সুযোগ পায়। পাশাপাশি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ৮০ শতাংশ নারী কর্মী নিয়োগ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।”


এছাড়া আগামী পাঁচ বছরে ৩০ থেকে ৩২ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্যও ঘোষণা করেন তিনি।


আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের গণআন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।



---

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ