চাঁদপুরের ৫০টিরও বেশি গ্রামে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ) থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু হবে। শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাসের আনুষ্ঠানিকতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী।
১৯২৮ সালে সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (রহ.) সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপনের রীতি চালু করেন। তার অনুসারীরা সেই থেকে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা রাখেন এবং ঈদ উদযাপন করেন। এই রীতি অনুসরণ করে চাঁদপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করেন।
জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ এবং মতলব উত্তরের অর্ধশতাধিক গ্রামে এই প্রথা মেনে চলা হয়। গ্রামের মুসল্লিরা সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ঘোষণা অনুযায়ী রোজা শুরু করে এবং ঈদ উদযাপন করে।
মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, "আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরিফের অনুসারী। প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি, এবারও তাই করব।"
সাদ্রা গ্রামের আবু মুছা জানান, "সাদ্রা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ও ঈদ উদযাপন শুরু করেন, এবং সেই নিয়ম আমরা এখনও পালন করছি।"
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেন, "আমরা সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা শুরু করি এবং ঈদ উদযাপন করি।"
পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, "পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আমরা সেই অনুযায়ী কাল থেকে রোজা শুরু করছি।"
0 মন্তব্যসমূহ