✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৪২, ২৬ মে ২০২৫
![]() |
ছবি অনলাইন |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখার ওপর জোর দিয়ে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কথা বলার সময় সাবধান হতে হবে। আপনি আমার মুরব্বি কিনা, তা নির্ধারণ করবে আপনার ব্যবহৃত ভাষা। শ্রদ্ধা আদায় করতে হলে আগে সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করতে শিখতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে আমরা একটি বিভৎস রাজনৈতিক সংস্কৃতির শিকার হয়েছি। তৎকালীন সরকার ও তাদের অনুসারীরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অবমাননাকর ও আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখন কিছু সিনিয়র নেতাও সেই একই ভাষা প্রয়োগ করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
সারজিস আলম স্পষ্টভাবে জানান, “যে ভাষায় আপনাদের ওপর দমন-পীড়ন হয়েছে, এখন আপনারা যদি সেই একই ভাষা প্রয়োগ করেন, তাহলে জনগণ আপনাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।”
তিনি বলেন, “দেশের তরুণ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা আর পুরনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ রাজনৈতিক আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপমানজনক ভাষা সহ্য করবে না। এখন সময় এসেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার।”
বর্তমান সরকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসন কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়, বরং তারা একটি গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে। তাই শুধুমাত্র দ্রুত নির্বাচনের কথা বললেই চলবে না, বরং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যথাযথ বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।”
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি জানান, “আন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। কিন্তু যদি সেই নির্বাচন স্বচ্ছ না হয়, তাহলে এটি অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি কলঙ্কে পরিণত হবে—যা আমরা কেউই চাই না।”
দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে সারজিস বলেন, “বিগত ১৬ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন থেকে যদি কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জনগণের সঙ্গে অন্যায় করেন, ভয় দেখান বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
সারজিস আলমের বক্তব্যে উঠে এসেছে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রত্যাশা, যেখানে প্রতিহিংসা নয়—বরং সম্মান, জবাবদিহিতা এবং নৈতিকতা থাকবে অগ্রগামী।
0 মন্তব্যসমূহ