✏অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩২, ২৬ মে ২০২৫
![]() |
ছবি : অনলাইন |
২৬ মে ২০২৫, সোমবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজা শহরের দারাজ এলাকায় ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শতাধিক মানুষের ওপর বোমা বর্ষণ করা হয়। এই হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
প্যালেস্টিনিয়ান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, স্কুলটি বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরার সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে আগুন জ্বলছে, একটি শিশু একা ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং বাইরে থেকে মানুষ জানালা ভাঙার চেষ্টা করছে।
একই দিনে গাজার জাবালিয়া শহরে একটি বাসভবনে হামলায় আবদ রাব্বো পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হন। এছাড়া, গাজা শহরের একটি অস্থায়ী তাঁবু শিবিরে হামলায় আরও ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাস ও প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের একটি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, বেসামরিক অবকাঠামো, বিশেষ করে স্কুলে হামলা নিষিদ্ধ।
গত ১৯ মাসে ইসরায়েল গাজায় একাধিক স্কুলে হামলা চালিয়েছে, যেগুলো বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আল-বুরাক স্কুলে হামলায় ৫০ জন এবং আগস্টে আল-তাবিন স্কুলে হামলায় ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র:https://aje.io/4nth2b
0 মন্তব্যসমূহ