✏অনলাইন ডেস্ক
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ৪:২৬
দেশের প্রথম জাতীয় ও ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন নামকরণ অনুযায়ী, এই সড়কটি এখন থেকে ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’ নামে পরিচিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়েটির নামকরণ করা হয় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ হিসেবে। তবে শুরু থেকেই এটি সাধারণ মানুষের কাছে ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’ নামেই পরিচিত ছিল।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হয়। এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার, যা ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম) নির্মাণ করে।
মূল এক্সপ্রেসওয়েটি চার লেনবিশিষ্ট হলেও ধীরগতির যানবাহনের জন্য উভয় পাশে রয়েছে ৫.৫ মিটার প্রশস্ত দুটি সড়ক। এতে রয়েছে দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু এবং ৫৪টি কালভার্ট।
২০২২ সালে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় সরকারিভাবে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক” নামে সাইনবোর্ড বসানো হয়। তবে ২০২৪ সালের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর স্থানীয়রা নামফলক ভেঙে সেখানে ‘জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এক্সপ্রেসওয়ে’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেয়।
এক্সপ্রেসওয়েটি যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলা অতিক্রম করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়েটির দুপাশের সংযোগ পূর্ণতা পায়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন পুরনো পরিচয় ফিরে এলো, তেমনি নাগরিক সমাজে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ