ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের পর অস্ত্র সংকটে পড়েছে ইসরাইল

 ✏অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ৭:৫৩

ইরানের সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ইসরাইল বর্তমানে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ঘাটতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। মার্কিন প্রশাসনের অজ্ঞাতনামা দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের অস্ত্রভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদের সংকট দেখা দিয়েছে। আরও তিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল এখন কিছু নির্দিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের বিশেষ সংকটে রয়েছে।

এই তথ্য এমন সময়ে সামনে এলো যখন কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। যদিও যুদ্ধবিরতিটি এখনো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে, তবুও এটি কার্যকর রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে অস্ত্র সংকট সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য না এলেও বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ইসরাইলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে ইসরাইলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে বলেও এনবিসি জানায়।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরাইল অভিযোগ তোলে যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছে। এর পরই তারা বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে। পাল্টা জবাবে ইরান “অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩” নামে অভিযান চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে নেই।

সর্বশেষ, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই প্রতিহত করা হয় এবং এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইরান এই হামলার পূর্বাভাস কাতারকে দিয়েছিল বলেও জানায় বিভিন্ন সূত্র।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের সাবেক সিরিয়া বিষয়ক দূত পিটার ফোর্ড মন্তব্য করেছেন, ইসরাইলের অস্ত্র সংকট যুদ্ধবিরতির স্থায়ীত্ব বাড়াতে পারে। কারণ, ইসরাইলের পক্ষে এখন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এবং তারা শান্তি চাইছে বেশি।

এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের ভবিষ্যৎ সামরিক কৌশল ও যুদ্ধবিরতির স্থায়ীত্ব বিশ্বজুড়ে পর্যবেক্ষণে রয়েছে।