✏মো. মনজু শেখ
রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ৩:২১
রাজবাড়ীর এক মানবিক যুবক মাহিন শিকদার তার ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে শহরজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। ব্যানারে লেখা ছিল, “আমি রাজবাড়ীর সন্তান হিসেবে আমার মৃত্যুর আগে সদর হাসপাতাল সড়ক সংস্কার দেখে যেতে চাই।”—এমন হৃদয়বিদারক আবেদন জানিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই ভাঙাচোরা হাসপাতাল সড়কের সামনেই।
রাজবাড়ী পৌরসভার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলো সদর হাসপাতাল সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, দোকানপাট এবং বাড়িঘরে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি পরিণত হয়েছে চলাচলের অনুপযুক্ত এক ঝুঁকিপূর্ণ পথে। খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়ে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক উল্টে যাওয়ার ঘটনা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আহত হচ্ছেন পথচারী, শিক্ষার্থী এমনকি রোগীবাহী যানবাহনের যাত্রীরাও।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিবাদে নেমেছেন মাহিন শিকদার। তিনি বলেন,
“দীর্ঘদিন ধরে আমাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল সড়কের বেহাল দশা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। আমি আমার মৃত্যুর আগে এই হাসপাতাল সড়ক সংস্কার দেখে যেতে চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের ভয়াবহ অবস্থার কারণে বাধ্য হয়ে তারা বাঁশ, কাঠ ও গাছের ডালপালা দিয়ে সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এ যেন নিজের এলাকা রক্ষায় এক ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ যুদ্ধ’।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশ্ন এখন একটাই— কখন হবে রাজবাড়ীর এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কার? মাহিন শিকদারদের মতো সচেতন নাগরিকরা কতদিন এমন মানবিক আবেদন জানিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন ভাঙা রাস্তায়?
রাজবাড়ীবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুতই সংস্কার হবে সদর হাসপাতাল সড়ক— যেন মাহিন শিকদারের মতো কেউ আর মৃত্যুর আগেই সড়ক মেরামতের স্বপ্ন না দেখে।
0 মন্তব্যসমূহ