মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদীর ভাঙন ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে। ৫ নম্বর ফেরিঘাট ভাঙনের পর এবার ৪ নম্বর ঘাটেও ভাঙন শুরু হয়েছে, যা যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ৪ নম্বর ঘাটের হাই লেভেল অংশে ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম। তিনি জানান, আপাতত মিড লেভেল পল্টুন দিয়ে পারাপার চালু থাকলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৫ আগস্ট পাটুরিয়ার লঞ্চঘাট ভেঙে গেলে সেটি ২ নম্বর ফেরিঘাটে সরানো হয়। দুই দিন পর সেখানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় লঞ্চঘাট স্থানান্তর হয় ১ নম্বর ঘাটে। ১২ আগস্ট ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন শুরু হয় এবং ১৪ আগস্ট থেকে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ শুক্রবার থেকে ৪ নম্বর ঘাটেও ভাঙন দেখা দেয়, যেখানে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ গজ এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে।
৩ নম্বর ফেরিঘাটেও ফাটল ধরা পড়ায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তবে ফেরিঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ৫ নম্বর ঘাটের পাশের কয়েকটি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে এবং আরও শতাধিক ঘরবাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘাট এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার অব্যাহত রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ