রোজার পবিত্র মাস, মাহে রমজান, এসে উপস্থিত প্রায়। রোজাদারদের ইফতারের সময় যে ফলটি প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরা হয়, তা হলো খেজুর। পবিত্র কোরআনে খেজুরের উল্লেখ এসেছে ২২টি আয়াতে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এরও এটি ছিল প্রিয় ফল।
কোরআনের সূরা আবাসার ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "আমি জমিনে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙুর, শাক-সবজি, জয়তুন এবং খেজুর বৃক্ষ।" বিজ্ঞানও বলছে, খেজুর মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল, যা শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরকে পুনরায় চাঙ্গা করতে পুষ্টি উপাদান অপরিহার্য। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি, যা শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক। নিয়মিত খেজুর খেলে মিলবে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
খেজুরে বিদ্যমান পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, এবং কপার হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ফলে সুস্থ হাড়ের জন্য নিয়মিত খেজুর খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ এবং কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। তাই সকালের নাস্তায় খেজুর রাখা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, খেজুর তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এভাবে খেজুর শুধু পবিত্র ফল নয়, শরীরের সুস্থতা রক্ষায়ও এক অনন্য সম্পদ।
0 মন্তব্যসমূহ