✏অনলাইন ডেস্ক
📍রাজবাড়ী সার্কেল | প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর একদিনের হামলায় আরও ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন খাদ্য সহায়তা নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষ, যারা বিভিন্ন বিতরণকেন্দ্রে অপেক্ষা করছিলেন।
রোববার (২৯ জুন) রাতের দিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই মর্মান্তিক তথ্য জানানো হয়। গাজার মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওইদিন ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলায় কেবল গাজা শহর ও এর উত্তরের অংশেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি মুয়াত আল-কালহুত জানান, গাজা শহরের জেইতুন, সাবরা এবং আল-জাওইয়া বাজার এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে আহত মানুষের ঢল নামে। তিনি বলেন, "হাসপাতালে প্রচুর শিশু ও নারীসহ আহত ব্যক্তি এসেছেন। পর্যাপ্ত বেড, ওষুধ বা চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় অনেকে মেঝেতে পড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালটি চরম সংকটে রয়েছে।"
তিনি আরও জানান, ইসরাইল পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলছে। কিন্তু এই সতর্কতার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হচ্ছে ভারী বোমা হামলা, যাতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন যারা রাফাহ অঞ্চলে একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন। বিতরণ কেন্দ্রগুলো বর্তমানে পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ), যাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থন দিচ্ছে।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জিএইচএফ গত মে মাসের শেষদিক থেকে গাজায় আংশিক সহায়তা বিতরণ শুরু করার পর থেকে ইসরাইলি সেনারা প্রায়শই এসব বিতরণকেন্দ্রের কাছে অপেক্ষমাণ মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার।
মানবিক সংকট এখন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুষ্টির অভাবে শিশু ও নবজাতকদের মৃত্যু ঘটছে প্রতিনিয়ত। খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তাহীনতা গাজার মানুষের জীবনকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ।
0 মন্তব্যসমূহ